ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য বা সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এই উপার্জিত আয় থেকে উৎপাদন খরচ, বিক্রয় খরচ ইত্যাদি বাদ দিলে যে অর্থ বাকি থাকে, সেটিই প্রতিষ্ঠানটির অর্জিত মুনাফা। এই মুনাফা থেকে ঋণের সুদ ও সরকারকে প্রদেয় ট্যাক্স বাদ দেয়ার পর বাকিটা বিভিন্নভাবে তহবিলের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যা নিচে আলোচনা করা হলো। ঋণের ক্ষেত্রে যেমন কিস্তি পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যবহারে বাধ্যতামূলকভাবে তেমন কিছু প্রদান করতে হয় না, ফলে তহবিল পরিশোধের অপারগতা সংক্রান্ত ঝুঁকি কিছুটা কমে যায়। মুনাফাভিত্তিক কয়েকটি উৎসের সাথে আমরা এখন সংক্ষেপে পরিচিত হব।
ক) অবণ্টিত মুনাফা ও সঞ্চিতি তহবিল
নিট মুনাফার যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন না করে কারবারে বিনিয়োগ করা হয়, তা অবণ্টিত মুনাফা। ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য এই অবণ্টিত মুনাফা একটি তহবিলে আলাদা করে রাখলে তাকে বলা হয় সঞ্চিতি তহবিল। আবার ভবিষ্যতের কোনো আর্থিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্যও এই সঞ্চিতি তহবিল সৃষ্টি করা যায়।
খ) লভ্যাংশ সমতাকরণ তহবিল
কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানি থেকে সাধারণত নিয়মিতভাবে লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। এই লভ্যাংশ প্রদানের সাথে কোম্পানির সুনাম জড়িত। কোনো বছর মুনাফার পরিমাণ কম হলে সে বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করা সম্ভব হয় না। কিন্তু এ অবস্থা ব্যবসায় সুনামকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে বলে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যে বছর মুনাফা বেশি হয়, সে বছরে নিট মুনাফার একটা অংশ লভ্যাংশ সমতাকরণ তহবিলে সরিয়ে রাখে, যা পরবর্তীতে যখন মুনাফা অপ্রতুল হয়, তখন ব্যবহার করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট হারে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে।